ইটাওয়া/রজত কুমার: দিলীপ কুমার ও সায়রা বানুকে কেউ চেনে না। দুজনেই তাদের কাজ দিয়ে ভক্তদের মন জয় করেছেন। কিন্তু আপনি কি সেই দরগাহ সম্পর্কে জানেন যেখানে দুজনেই যেতেন। এই দরগাহ উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়াতে অবস্থিত। দরগাহটির নাম হরত আবুল হাসান শাহ ওয়ারসি।
এই দরগায় যেতেন দিলীপ কুমার ও সায়রা বানু
ভালবাসার স্তম্ভ হযরত আবুল হাসান শাহ ওয়ারসীর দরগাহ, কাটরা সাহেব খা ইটাওয়ার নেভিল রোডে অবস্থিত। এটি হজরত মাহমুদ শাহ ওয়ারসি প্রতিষ্ঠা করেন। এই দরগা শরীফে প্রথমে ইমাম বড় শরীফ, হুজরা শরীফ সরকার ওয়ারিশ-এ-পাস এবং পরে হযরত আবুল হাসান শাহ ওয়ারিস এর রোজা পালন করা হয়। সর্বশেষ মসজিদ ও ৩২টি কক্ষ নির্মাণ করা হয়। হযরত মাহমুদ শাহ ওয়ারসি 1949 সালে দরগাহ পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
একটি দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে ব্যবহৃত
দরগাহ আবুল হাসান শাহ ওয়ার্সি মাজার ট্রাস্টের ম্যানেজার ও সেক্রেটারি হানি ওয়ার্সি বলেছেন যে দিলীপ কুমার এবং সায়রা বানু 1972 সালে প্রথমবারের মতো এবং 1975 সালে দ্বিতীয়বারের মতো তিন দিন দরগায় ছিলেন। উরসের দিন তারা এসে প্রায় দেড় দিন অবস্থান করেন।
আমি মাথা নিচু করে দোয়া করলাম
হর দিল আজিজ ছবির অভিনেতা দিলীপ কুমার স্ত্রী সায়রা বানুকে নিয়ে দুবার ইটাওয়ায় এসেছিলেন। এখানে অবস্থিত দরগাহ ওয়ার্সির সাথে তার আধ্যাত্মিক সম্পর্ক ছিল। বিয়ের ছয় বছর কোনো সন্তান না হওয়ায় আবুল শাহ হাসান ওয়ার্সি দরগায় এসে নামাজ আদায় করেন।
সচিব এ তথ্য জানান
দরগাহ আবুল হাসান শাহ ওয়ার্সি মাজার ট্রাস্টের ম্যানেজার ও সেক্রেটারি হানি ওয়ার্সি বলেছেন, ‘দিলিপ কুমার এবং সায়রা বানু 1972 সালে প্রথমবারের মতো পুরো দিন দরগায় ছিলেন। দ্বিতীয়বার তিনি 1975 সালে তিন দিনের ওরস উপলক্ষে এসে প্রায় দেড় দিন অবস্থান করেন। কথিত আছে যে দরগাহ হল সায়রা বানুর মা, বিখ্যাত অভিনেত্রী নাসিম বানুর পীরখানা (গুরুর বাড়ি)। তাঁর পীর (গুরু) মাহমুদ শাহ ওয়ারসি এখানে থাকতেন। মা নাসিম বানোকে নিয়ে তিনি বেশ কয়েকবার দরগায় আসেন।
নাসিম বানোই জামাতা দিলীপ কুমার এবং মেয়ে সায়রাকে সন্তানের জন্য প্রার্থনা করার জন্য দরগায় নিয়ে এসেছিলেন। দরগাহের সেক্রেটারি হানি ওয়ারিসি জানান, সারা দেশ থেকে প্রতিটি ধর্মের মানুষ এই দরগায় আসেন পূজার জন্য। এই দরগাহ নিজের মধ্যে অনেক গুরুত্ব বহন করে।
Tags: ইটাওয়ার খবর, স্থানীয়18
প্রথম প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর 5, 2024, 12:25 IST